এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া:
অলিশাহ বাজার(ফকির হাট),চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ১৯৭১ সালের পূর্বে থেকে সুপরিচিত একটি প্রাচীন বাজার। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই অলিশাহ বাজারের চার রাস্তার (খালি জায়গা) মোড়ে দৈনন্দিন মাছ-মাংস ও সবজি বাজার বসত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচা-কেনার জন্য সুপ্রসিদ্ধ একটি বাজার। এমনকি যেকোনো রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমাবেশও সুন্দরভাবে করা হতো এই চার রাস্তার মোড়ে।
ধীরে ধীরে দামি হয়ে উঠা বাজারে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে স্থানীয় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ইন্ধনে স্থানীয় এজাহার হোসের পুত্র আ,লীগ নেতা মমতাজ, তওহিদ, শহীদ গংদের কু-নজরে পড়ে। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনের পর পরেই বাজার দখলে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে। দখল প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাজার পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে গত (১৬ মে ২৪ ইং) চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগটি চকরিয়া থানাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও পরবর্তী অদৃশ্য ইশারায় থানা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের নেতারা অলিশাহ বাজারটি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ফেলে। সেই থেকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকিতে বাজার কমিটি নেতারা চুপ ছিল।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে স্থানীয়, এবং বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা তাদের ঐতিহ্যবাহী বাজারটি ফিরে পেতে বিভিন্ন দপ্তরে ফের যোগাযোগ শুরু করেছে বলে জানান অলিশাহ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো:রফিক।
অভিযুক্ত মমতাজ বলেন, জায়গাটি আমাদের ক্রয়কৃত হওয়ায় মার্কেট নির্মাণ করেছি।
